সিজারে কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই।

সিজারে কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই এই নিয়ে আমাদের কমবেশি সবারই মনে অনেক প্রশ্ন থেকে থাকে। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে সিজারে কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।আশা করি আজকে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা সিজারে কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই, সিজারে সেলাই কাটা হয় কিভাবে, নরমাল সেলাই ও কসমেটিক সেলাইয়ের পার্থক্য এইসব বিষয়ে সমূহ বিস্তারিত আলোচনা করব।

সিজারে কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই,সিজার করা ভালো নাকি নরমাল ডেলিভারি,কসমেটিক সেলাই,সিজারে কসমেটিকস নাকি নরমাল সেলাই কোনটা ভালো,সাইড কাটা ভালো নাকি সিজার,সিজারের সময় নরমাল সেলাই ভালো নাকি কসমেটিক সেলাই ভালো,কসমেটিক সেলাই নাকি নরমাল সেলাই কোনটি ভালো,নরমাল সেলাই,সিজারের সেলাই,কসমেটিক সেলাই নাকি নরমাল সেলাই,সিজারের সেলাই কাঁটা হয় কিভাবে,সিজার নাকি নরমাল? নরমাল সেলাই নাকি কসমেটিক সেলাই? ইন্ট্রডার্মাল সেলাই,কসমেটিক সেলাই vs নরমাল সেলাই

বর্তমানে আমাদের দেশে নরমাল ডেলিভারি থেকে সিজারে বাচ্চা জন্ম ও ভূমিষ্ঠ হয় অনেক বেশি। বেশিরভাগ গর্ভবতী মায়েরাই সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন। তাই এই সিজার নিয়োগ অনেকে কনফিউসে থাকেন যে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য সিজারের কোনটা ভালো হবে কসমেটিক নাকি নরমাল সেলাই। চলুন তাহলে এই বিষয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই। 

সিজারে কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই। 

বিশ্বের স্বাস্থ্য সংস্থা এক জরিপে দেখা গিয়েছে যে   বাংলাদেশে নরমাল ডেলিভারি থেকে সিজারে সন্তান জন্ম নিচ্ছে অধিকারে। যেটা অন্য কোন দেশে হয় না। বাংলাদেশেই সিজারে সন্তান জন্ম নেওয়া ও হওয়া পার্সেন্টেজ অনেক বেশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায়। তাই জেনে নিব একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য কসমেটিক সার্জারি নাকি নরমাল সিজার কোনটা ভালো।

কসমেটিক সার্জারি-

সিজারে যদি কসমেটিক সেলাই ব্যবহার করে তাহলে সিজারের পরবর্তী সময় আলাদাভাবে কোন রকমের সেলাই কাটার দরকার হয় না। একজন সিজারিয়ান রোগীর কোন সেলাইটা তার জন্য বেশি প্রযোজ্য সেটা একমাত্র একজন চিকিৎসকে ভালো বলতে পারবে। যাদের ডায়াবেটিকস আছে ও থাইরয়েডটজনিত সহ এরকম কিছু রোগে যে রোগী আক্রান্ত তাদেরকে ডাক্তার সাধারণত কসমেটিক সার্জারিও সেলাই দেয় না। 

চিকিৎসকের মতে তাদের জন্য সবথেকে ভালো নরমাল যে সেলাই সেটাই। আর যদি কারো এই সব ধরনের সমস্যা না থাকে তাদের জন্য কসমেটিক সার্জারি ও কসমেটিক সেলাই প্রযোজ্য। তবে এমনটা নয় যে কসমেটিক সার্জারি রোগীর জন্য খুবই ভালো আর নরমাল সার্জারি ও সিজার রোগীর জন্য ক্ষতিকর। আপনি চাইলে কসমেটিক সার্জারিও করাতে পারেন এমনকি নরমাল সার্জারি ক্ষেত্রে করাতে পারে। আর এটা সম্পূর্ণ কনফিডেন্স সহকারে বলতে পারবে  একমাত্র চিকিৎসক। 

নরমাল সার্জারি-

নরমাল সার্জারি ও সেলাই হল যে সিজারের পর সিজারিয়ান রোগীর সেলাই টা ১৪ থেকে ২০ দিন পর কেটে ফেলতে হয় আলাদাভাবে। আর ডায়াবেটিক্স রোগীদের জন্য নরমাল সার্জারি ও নর্মাল সেলাই বেস্ট। এখানে কসমেটিক সার্জারি ও নরমাল সার্জারি খারাপ ও ভালো তেমন কোন বিষয় নেই। কোন সেলাই ও কোন সার্জারি রোগের জন্য ভালো হবে সেটা একমাত্র ডাক্তারি বলতে পারবেন।

কসমেটিক সেলাই নরমাল সেলাইয়ের মধ্যে পার্থক্।

কসমেটিক সেলাই ও নরমাল সেলাইয়ের মধ্যে পার্থক্য নিম্নে সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হলো-

কসমেটিক সেলাই-

কসমেটিক সেলাই এর থেকে নরমাল সেলাইয়ের পার্থক্যটা হল যে একজন গর্ভবতী মায়ের সিজারের কিছুদিন পর  সেলাই কাটতে হয়। কসমিক সার্জারি ক্ষেত্রে হল এই কসমেটিক সেলাইটি চামড়ার সাথে মিশে যায় আলাদাভাবে কাটতে হয় না। আর কসমেটিক সেলাই সাধারণ নরমাল থেকে একটু দ্রুত শুকায়। ও চার থেকে দশ দিনের মধ্যে এই সেলাই কাটা যায়। চারদিন অথবা সাতদিন পরে একজন কসমেটিক সার্জারি রোগীর চামড়ার ওপার থেকে একটা সুতো টেনে বের করে। ব্যাস এতোটুকুই। আর বাকি যে সেলাই টা থাকে সেটা চামড়ার সাথে মিশে যায়।

নরমাল সেলাই-
কসমেটিক সেলাই ও নরমাল সেলাইয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো যে, নরমাল সেলাইটা সিজারের পর আলাদাভাবে কাটতে হয়, যেটা কসমেটিক সেলাইয়ের মত সেলাইটা চামড়ার সাথে মিশে যায় না। আর নরমাল সেলাইটা শুকাতে ১৪ থেকে ২০ ও ২৫ দিনের মতো সময় লাগে। তবে এই সময়টা যে সবার ক্ষেত্রে হবে এমন না। অনেকের ক্ষেত্রে নরমাল সেলাই সাত দিনের আগেও কাটা যায়, যদি তার শরীরে চর্বি ও ফ্যাটজনিত কোন সমস্যা না থাকে।
আশা করি উপরোক্ত লেখা অনুসারে বুঝতে পেরেছেন যে কসমেটিক সার্জারি ও নরমাল সার্জারির মধ্যে পার্থক্য। 

সিজারের সেলাই কাটা হয় কিভাবে।

সিজারে সেলাই কাটা হয় কিভাবে সে বিষয়ে জেনে নিন-
সিজারে নরমাল সেলাই কাটা হয় কিভাবে।
সিজারের নরমাল সেলাই কাটা হয়। সিজারের পর চামড়ার উপরে ক্যাটঘাট সুতো দিয়ে একটি সেলাই দেওয়া হয়। সেলাইটি যখন যথাযথভাবে শুকিয়ে যায় তখন একটি ছোট দের মাধ্যমে সেলাই এর একমাথা টেনে ধরে, আর একটা ছোট কেচি দিয়ে সুতো কাটে ,এরকম চারপাশটা সেলাই দেওয়া হয়ে থাকে, আর সেই সেলাইগুলো কেসির মাধ্যমে আস্তে আস্তে করে কেটে ফেলে। তারপরে সেখানে দিয়ে ভালোভাবে ড্রেসিং করে দেয়। 
সিজারে কসমেটিক সেলাই কাটা হয় কিভাবে। 
সিজারে কসমেটিক সেলাই কাটা হয় সিজারের পর উন্নত মানের একটি সুতা দিয়ে সিজরিয়ান রোগী কাটা জায়গায় সেলাই দেওয়া হয়ে থাকে। ওই সুতা রোগের চামড়ার সাথে মিশে যায় ও দ্রুত শুকিয়ে যায়।তাই যথাযথ ভাবে সেলাইয়ের স্থান শুকানোর পর চামড়ার কণা দিয়ে একটা সুতো ছোট ফোর্সেবের মাধ্যমে টান দিলে সুতটা ভিতর থেকে আসতে বের হয়ে আসে। আর সেলাই টা চামড়ার সাথে মিশে যায়। 

কসমেটিক সেলাই তে দাগ থাকে নাকি নরমাল সেলাই তে তার থাকে। 

কসমেটিক সেলাইয়ের দাগ-
সাধারণত কসমেটিক সেলাইয়েতে রোগীর চামড়ার উপরে ও পেটের উপরে দাগ কম থাকে। কসমেটিক সার্জারি সেলাইয়ের দাগটা সিজারিয়ান রোগীর খুবই দ্রুত ঘুচে যায় অল্প একটু কাটা দাগ থাকে। আর ওই অল্প একটু কাটা দাগ আপনার সারা জীবনই থাকবে।
নরমাল সেলাইয়ের দাগ-
নরমাল সেলাইয়ের দাগটা বুঝতে রোগীর অনেকদিন সময় লাগে। ও পেটুর উপরে অনেকখানি জায়গা নিয়েই এই কাঁটা দাগটা থাকে। যেটা কসমেটিক সেলাই থেকে অনেক বড় একটা দাগ থেকে যায় রোগীর। 
পরিশেষে বলা যায় যে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য সিজারে কসমেটিক সেলাই ও নরমাল সার্জারি দুইটাই ভালো দুটোই ভালো ঝুকি মুক্ত। এই দুটো সেলাইকে ওর সার্জারিকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই। আর রোগীর কোন সেলাই ও কোন সার্জারি দরকার সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করায় ভালো।আশা করি আজকে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা সিজারের কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই, কসমেটিক সেল আইও নরমাল সেলাইয়ের মধ্যে পার্থক্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমি হয়তো আপনাদেরকে জানাতে পেরেছি।  ধন্যবাদ -





  


Next Post Previous Post