বায়োজিন স্কিন কেয়ার বাংলাদেশের সব থেকে ত্বকের যত্ন ও ত্বকের সুন্দর অন্যতম জায়গা হচ্ছে ভাই স্কিন কেয়ার। এরা স্কিনের যে কোন সমস্যা ও স্কিনের ব্যবহার করার জন্য ভালো প্রোডাক্ট দিয়ে থাকে। বায়োজিন স্কিন কেয়ারের মাধ্যমে আপনি আপনার স্কিনের অনেক ধরনের সেবা পাবেন। তাহলে চলুন বাইজিন স্কিন কেয়ার সম্বন্ধে আমরা বিস্তারিত অনেক কিছু জেনে নিই।
আলোচ্য বিষয়-
- বায়োজিন স্কিন কেয়ার ও এবং বায়োজিন স্কিন কেয়ার চট্টগ্রাম।Biogene Skin Care O and Biogene Skin Care Chittagong
- হেলথি স্কিন কেয়ার রুটিন।
- বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস।
বায়োজিন স্কিন কেয়ার ও এবং বায়োজিন স্কিন কেয়ার চট্টগ্রাম।
বায়োজেন স্কিন কেয়ার :বায়োজিন স্কিন কেয়ার হল একটি বাংলাদেশের সব থেকে অন্যতম একটি স্কিন কেয়ার প্রতিষ্ঠান। এখানে ত্বকের যত্ন স্কিন কেয়ারের জন্য দক্ষ ডাক্তার ও চিকিৎসকের ধারা ট্রিটমেন্ট করানো হয়। আমরা স্কিন কেয়ার বলতে বুঝি মেকআপ করা ও তোকে সুন্দর করা, কিন্তু বায়োজিন স্কিন কেয়ার তারা প্রমাণ করে দিয়েছে যে ত্বক ফর্সা ও মেকআপ করাই স্কিন কেয়ার নয়। টপকে সতেজ করা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখা ব্রণ মেছতা ত্বকের লাবণ্যতা এগুলোকেই বলা হয় স্কিন কেয়ার।
ত্বকের যে কোন সমস্যাই সমাধান দিয়ে থাকে বা বায়োজিন স্কিন কেয়ার। এখানে ফেসিয়াল করার আগে তারা আপনার স্কিনকে চেক করে নিবে যে কোন ধরনের ফেসিয়াল প্যাক আপনার স্কিনের সাথে যাবে। স্কিন কেয়ার থেকে যদি কাউকে কোন ক্রিম অথবা ফেসওয়াস ফাউন্ডেশন এই ধরনের প্রোডাক্ট সাজেস্ট করে থাকে সেই সাজেস্ট করার আগে তারা দেখে যে ব্যক্তি এই প্রোডাক্টটি নিবে তার স্ক্রিন ও ত্বকের সাথে প্রোডাক্টটি শুট করে কিনা।
সেই ব্যক্তিকে মেডিকেল টেস্ট করে তার ত্বকের ও ও স্কিনের উপর ডিপেন্ড করেই তাকে প্রসাধানি ও প্রোডাক্ট ইউজ করতে দেওয়া হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের ওর ব্র্যান্ডের প্রসাধনী পাওয়া যায়। বায়োজিন স্কিন কেয়ার স্কিনের স্বাস্থ্য সেবার ও কসমেটিক্যাল বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বায়োজিন স্কিন কেয়ারে গেলে আপনি যে সকল সমস্যার সমাধান পাবেন সেগুলো হল-
- স্কিন কেয়ারে প্রয়োজন অনুসারে সেবা দেওয়া হয় ,ব্রণ, মেছতা, চোখের নিচে কালো দাগ সহ ত্বকের যে সমস্ত যে সকল সমস্যা আছে সকল সমস্যার ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকে বায়োজিন স্কিন কেয়ার।
- এখানে ব্রাইটিং ও হোইটিং বায়োহালটা ফেসিয়াল করা হয়, আরো বিভিন্ন উন্নত মানের ফেসিয়াল করা হয় এখানে।
- বায়োজিন স্কিন কেয়ারে পার্মানেন্ট ভাবে আন্ডার আর্ম এর লোমগুলো স্থায়ীভাবে সমাধান করা হয়।
- এখানে উন্নত মানের হেয়ার স্পা করা হয়। হেয়ার স্পার আগে আপনার চুলের মেডিকেল টেস্ট করে তারা সেই প্রয়োজনমতো হেয়ার স্পা ও ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকে।
- যারা চর্বি জনিত সমস্যায় ভুগছে তাদের জন্য এখানে সেবা প্রদান করা হয়। লেজারের মাধ্যমে চর্বি কমানো হয়ে থাকে।
- ইপিএম টিপেন এর মাধ্যমে চুল পড়া সমস্যা সমাধান করা হয়।
- এখানে একটি সেবা আছে যার নাম হচ্ছে ডক্টর লাইট এই ডক্টর লাইটের মাধ্যমে বডি স্লিম করা ও বডি শেপ আনো হয়ে থাকে।
বায়োজিন স্কিন কেয়ার চট্টগ্রাম: বায়োজেন স্কিন কেয়ারে মোট ১০ টি ব্রাঞ্চ বাংলাদেশে রয়েছে। ঢাকার মধ্যে রয়েছে বাইজিনি স্কিন কেয়ারের ছয়টি ব্রাঞ্চ সেগুলো হল-ধানমন্ডি, উত্তরা, মিরপুর, বসুন্ধরা
ওয়ারিদ, শান্তিনগর। তাছাড়াও সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সহ আরো কয়েকটি বিভাগে বায়েজি স্কিন কেয়ারের ব্রাঞ্চ রয়েছে। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই বায়োজেন স্কিন কেয়ারে চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ টি কোন জায়গায় অবস্থিত।
বায়োজিন স্কিন কেয়ার চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে বায়োজিন স্কিন কেয়ার ক্লিনি ক এক বছর আগে উদ্বোধন করা হয়। চট্টগ্রামের এই বায়োজিন স্কিন কেয়ার ক্লিনিক টি হল-
ঠিকানা :চট্টগ্রাম সিটির মধ্যে লেবেল -৩
ইমপালস সিটি সেন্টার
গোলপাহাড় মোড় চট্টগ্রাম
গরমে স্কিন কেয়ার।
গরম আসলে আমরা সবাই চিন্তিত হয়ে পরি যে কিভাবে ত্বকের ওই স্কিনের যত্ন নিব। তাই তাদের জন্য আমি কিছু মাত্র সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। গরমে আমরা সাধারন কোন ক্রিম বা কোন মেকআপ ইউজ করলেই প্রচুর ঘেমে যায়। তাছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় যে স্কিন গরমকালে এত ঘামা ঘামে যে ছেলে হয়ে যায় ও ত্বক কালো হয়ে যায়। গরমের সময় বেশি করে মুখে বড় অ্যাপ্লাই করবেন। আর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন।
হাতও শক্ত কোন কাপড় দিয়ে মুখের ও হাত পায়ের যে কোন অঙ্গের ঘাম মুছবেন না। সবসময় চেষ্টা করবেন টিস্যু দিয়ে আপনার ফেসটা আলতো ভাবে ঘামগুলো মুছে নিবেন। তারপর একটি সুতির কাপড়ে একটি বরফের টুকরো পেঁচিয়ে নিয়ে একটু সময় নিয়ে আস্তে আস্তে আপনার সম্পূর্ণ ফেইজে ও ত্বকে এপ্লাই করবেন। আর গরমে বাইরে বের হলে ক্রিমের থেকে লুজ পাউডার অথবা কোন ভাল ব্র্যান্ডের পাউডার ইউজ করার চেষ্টা করবেন।
কারণ গরমকালে ক্রিম ফাউন্ডেশন টা ঘেমে যায় খুব বেশি। তাই গরমকালে আপনি পাউডার লুচ পাউডার ব্যবহার করবেন। আর যারা সানস্ক্রিম ইউজ করেন তারা অবশ্যই বাইরে রোদে নামার আগে সানস্ক্রিম ইউজ করে বের হবেন এবং তার উপরে হালকা করে যে কোন পাউডার আপনি পেজে এপ্লাই করে দেবেন। দেখবেন আপনার ফ্রেশনেশ থাকবে। আর গরম কালে বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন আর সব সময় চেষ্টা করবেন যাতে রোদের সংস্পর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন।
হেলথি স্কিন কেয়ার রুটিন।
হেলথ স্কিন কেয়ার রুটিন: আপনি যদি আপনার স্কিনকে রুটিন অনুসারে রাখতে চান তাহলে প্রথম যে কাজটি সেটা হচ্ছে আপনার স্কিনের ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণে কোন প্রসাধনই ব্যবহার করা যাবে না। কারণ অতিরিক্ত প্রসাধনীয় মেকআপ ব্যবহার করার ফলে স্ক্রিনে অনেক ধরনের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আপনি আপনার স্কিন ও ত্বকে যে ফেসওয়াশ ও মোসরাইজেন ব্যবহার করবেন এটি দেখে নিবেন যে অর্গানিক কিনা এবং আপনার স্কিন ও ত্বকের সাথে শুট করে কিনা।
কারণ আমরা অনেকেই রেগুলার ব্যবহার করা প্রসাধনু গুলো হুটহাট করে কিনে ব্যবহার করি পরে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই রেগুলার ব্যবহার করার প্রসাধন এগুলো অবশ্যই গুণগত মান সম্পূর্ণ কিনা সেটা যাচাই করে নেবেন ও অর্গানিক কিনা। ২৪ ঘন্টায় অন্তত তিন থেকে পাঁচ বার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। আমরা অনেকেই আছি যে সকালেও দুপুরে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেই কিন্তু অনেকেই রাত্রে এই কাজটি করে না। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলছি যে অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে আপনি আপনার ত্বক ওই স্কিন ভালোভাবে ক্লিন করে তারপর ঘুমাবেন।
কারণ সারাদিনের ধুলোবালি ও জীবাণ ু ঘুমানোর পর আপনার ত্বকে সাথে মিশে আপনার ত্বকের ক্ষতি করে থাকে। বেশি করে পানি পান করবেন কারণ পানি পান করলে ত্বক ও শরীর সবকিছুই সতেজ থাকে। এবং সব সময় সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাবেন। কারণ সবুজ শাকসবজি ও ফর্মুলে রয়েছে ভিটামিন সি যেটা আপনার সুন্দর ও প্রাণবন্তর করতে সাহায্য করে। আর গরমের সময় সানস্ক্রিম ও শীতের সময় উইন্টার ক্রিম অবশ্যই ইউজ করবেন। আশা করি আমায় আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি ধন্যবাদ।
বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস।
বায়োজেন কসমেটিক্যাল: এটি হচ্ছে একটি বাংলাদেশের স্কিন কেয়ার প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশে মোট ১০ টি ব্রাঞ্চ রয়েছে। বায়োজিন কসমেটিক্যাল সকল ব্রাঞ্চ গুলো সকাল দশটার পর থেকে বিকাল 4 টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে স্কিন স্পেশালি কংসেন্টেশন ডাক্তারের ধারা স্কিন বিষয়ে চিকিৎসা করানো হয়ে থাকে। এখানে ফিজিকালি ও বিউটি থ্রাপি দেয়া হয়ে থাকে। বায়োজিন কসমেটিক্যাল কেয়ার ে পেশেন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট ও প্রসাধানই দেওয়া হয়ে থাকে।