ঘাড়ে টিউমারের লক্ষণ এবং শিশুদের ঘাড়ে টিউমার হলে করণীয়।
ঘাড়ে টিউমারের লক্ষণ এবং শিশুদের ঘাড়ে টিউমার হলে করণীয় এই বিষয়ে আমাদের সকলেই জানা দরকার। তাহলে চলুন টিউমার সম্পর্কিত কিছু বিষয় আমরা ভালোভাবে জেনে নি। কারণ টিউমারএমন একটা জিনিস ছোট বড় নারী পুরুষ শিশু যে কেউ টিউমারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর এই টিউমার ক্যান্সারও মৃত্যুর কাছে অনেক সময় নিয়ে যায়। তাই আমাদের সকলের টিউমারের সম্বন্ধে ভালোভাবে জানা এবং অন্য কেউ জানানো।
ঘাড়ে টিউমারের লক্ষণ এবং শিশুদের ঘাড়ে টিউমার হলে করণীয়।
ঘাড়ে টিউমারের লক্ষণ: টিউমার এমন একটি মাংসপিণ্ড যা নাকে, কানে, গলায়, মাথায়, ঘাড়ে সহ শরীর যে কোন জায়গায় হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ঘাড়ে টিউমার হলে তার লক্ষণগুলো কেমন হবে সে বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
ঘাড়ে টিউমার হলে যেসব লক্ষণ-
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ঘাড়ের টিউমার থেকে ক্যান্সারের পর্যায়ে চলে যায়। তাই ঘাড়ে টিউমারের বিষয় অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত। অনেক সময় দেখা যায় যে ঘাড়েটিউমার হলে আগে কাশি ও সর্দির ও হাসি ভাব দেখা দেয়। এবং ঘাড়ের বেশ কিছু অংশ নিয়ে প্রচন্ড ব্যথা হয়। তবে ঘাড়ে টিউমার ক্যান্সার হয় বিশেষ করে যারা ধূমপান করে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। তাই যদি কেউ দেখেন আপনার ঘাড়ে টিউমারের মত দেখা যাচ্ছে তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। তা না হলে গাঁড়ে টিউমার অন্যধারায় গেলে ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয়।
শিশুদের ঘাড়ে টিউমার হলে করণীয়: শিশুদের ও ঘাড়ে টিউমার দেখা দেয়। এক বছর থেকে ১০ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঘাড়ে ও ঘাড়ে রবে টিউমার দেখা দিয়ে থাকে। যদি দেখেন আপনার শিশু ঘরের কোন অংশ ফুলে উঠেছে ও হাতে মাংসের ভিতর থেকে গোল ও চাকার মত মাংসপিণ্ড অনুভব হচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার শিশুর ঘাড়ে টিউমার বাসা বেধেছে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় ঘাড়ে টিউমার হওয়ার ফলে শিশু শুয়ে থাকা অবস্থায় কান্নাকাটি করছে এবং কাশি ও সর্দি ভাব। এই সব ধরনের উপসর্গ গুলো যদি একসঙ্গে আপনি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে শিশুর ঘাড়ে টিউমার থেকে ক্যান্সার পরিণত হতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। আর আপনার সতর্কতার জন্য আপনার শিশু ঘাড়ে টিউমার থেকে ওর টিউমার থেকে ক্যান্সার পর্যায় না যে সুরক্ষিত থাকলো।
মাথায় টিউমার চেনার উপায়।
মাথা টিউমার হলে কিভাবে বুঝবেন সেগুলো হল, যদি দেখেন আপনার মাথায় তীব্র ব্যথা হচ্ছে এবং তার সাথে গায়ে জ্বর জ্বর ভাব, মাথা ব্যথা যখন শুরু হয় তখন আপনার আচরণ বদলে যায় উগ্র ব্যবহার শুরু হয়ে যায়, নিজেকে কন্ট্রোল রাখা দায় হয়ে যায়, মাথায় টিউমার হলে রোগীর পা থেকে খিচুনি শুরু হয় এবং সেই খিচুনি শরীরের সারা জায়গায় শুরু হয়ে যায়। অনেক সময় যখন রোগীর মাথাব্যথা উঠে তখন রোগী সাধারণ মানুষের থেকে চোখে অনেক কম দেখে, ও ঝাপসা দেখে সবকিছু। আপনি যদি আপনার মাঝে এসব কোন ধরনের লক্ষণ দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে চলে যাবেন।
লাইপোমা টিউমার সমাধান।
লাইপোমা টিউমারটি এটি এমন একটি টিউমার যা চর্বিযুক্ত টিস্যু দিয়ে এই টিউমারটি শরীরে তৈরি হয়।এটিকে অনেক ক্ষেত্রে ফ্যাট টিউমার ও বলে থাকে। বিশেষ করে টিউমার গুলো শরীরের নরম অংশের টিস্যুতে বেশি দেখা যায়। লাইপোমার টিউমার হাত দিয়ে স্পর্শ করলে নরম ও একটি মাংস বিন্দুর মত মনে হয়। সাধারণত এই লাইপোমা টিউমার ওষুধে অনেক সময় কমে না।
সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে লাইপোমা টিউমার অপারেশন এর মাধ্যমে ভালো হয়। লাইপোমা টিউমারের সমস্যা সমাধান একমাত্র আপনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররাই দিতে পারবেন। কারণ টিউমার কিরকম কোন পর্যায়ে আছে সেটা উপর নির্ভর করবে মেডিসিনের মাধ্যমে যাবে নাকি অপারেশন দরকার হবে। তাই আপনি যদি বুঝেন আপনি লাইকোমা টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন। চিকিৎসক আপনাকে সঠিক সমাধানটি দেবে। ইনশাআল্লাহ-
লাইপোমা কি ব্যাথা করে।
লাইপোমো হলো একটি চর্বি-জামতি টিউমার। এই টিউমার নারী পুরুষ যে কেউই আক্রান্ত হতে পারে এমনকি শিশুরাও লাইফ টিউমারে আক্রান্ত হতে পারে। লাইপোমা টিউমার হলে সাধারণত সেরকম কোন তীব্র ব্যথা হয় না। তবে অসহ্য ও বিরক্তিকর অনুভবটা বেশি হয়। আবার একদম যে ব্যথা হয় না সেরকমটা না। ব্যাথা হয় খুব ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে না। দীর্ঘদিন যদি থাকে তাহলে টিউমারের আশপাশ অংশে ব্যথা অনুভব হয়। তাই লাইপোমা টিউমার যদি আপনি সনাক্ত করতে পারেন তাহলে দ্রুতই চিকিৎসকের কাছে পৌঁছে যাবেন।