বাচ্চাদের পায়খানা না হলে কি ঔষধ

 বাচ্চাদের পায়খানা না হলে কি ঔষধপ্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়া ব্যাপারে আমাদের সবার কাছেই খুবই সাধারণ এবং স্বাভাবিক একটা বিষয়। যদিও এর মর্ম সেই ব্যক্তি জানেন যিনি বিভিন্ন অসুখে ভোগে থাকে। তবে আমাদের নবজাতকের জন্য এই বিষয়টা প্রতিটা অভিভাবকের ক্ষেত্রেই উদ্যোগের কারণ হয়ে থাকে।


আমাদের অভিভাবকের মনে বাঁধতে পারে নানা ধরনের প্রশ্ন। কেন নবজাতক সময়মতো মাল ত্যাগ করছে না ?সে কি কোন অসুখে ভুগছে কিনা ?তার খাবার বা তাকে কোন ওষুধ খাওয়াবো কিনা ?এরকম হাজারো প্রশ্ন প্রতিটি অভিভাবকের মনেই হয়ে থাকে। আমাদের এই লিখতে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনাদের উদ্বেগ কমানোর চেষ্টা করব। 


বাচ্চাদের পায়খানা না হলে কি ঔষধ


কোষ্ঠকাঠিন্য শিশুদের একটি সাধারণ সমস্যা। অনেক সময় অজ্ঞতার কারণে অথবা সচেতনতার অভাবে শিশুর এ সমস্যা অভিভাবকেরা এড়িয়ে যান। এ সমস্যা এড়িয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে শিশুর নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।

বাচ্চাদের পায়খানা না হলে কি ঔষধ

সাধারণত সপ্তাহে ৩ বারের বেশি পায়খানা না হলে অথবা পায়খানা করার সময় ব্যথা অনুভব করলে আমরা বুঝতে পারি শিশুটি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে। শিশুরা মলত্যাগের সময় অনেক ক্ষেত্রে ব্যথায় কান্নাকাটিও করে।মলত্যাগের ব্যাপারে শিশুর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করা এবং মলত্যাগ করছে না বলে বকাবকি করা উচিত নয়। প্রয়োজনে সময়মতো মলত্যাগের জন্য উৎসাহিত করতে হবে। বুকের দুধ খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। তাই যেসব শিশু বুকের দুধ খায় কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তাদের বেশি করে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের বেশি বয়সের শিশুকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে বুকের দুধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানিও খাওয়ানো উচিত।টিনের দুধ খাওয়ালে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ কারণে ডাক্তারের নির্দেশনা ছাড়া বাজারের টিনের দুধ শিশুকে কখনই দেয়া উচিত নয়। একটু বড় শিশুদের সাগু, আঁশযুক্ত খাবার যেমন- শাকসবজি, পাকা কলা, বেল, পেঁপে, আম খাওয়ালে উপকার হয়।মলত্যাগের সময় শিশুর ব্যথা হলে জোর না করে পায়খানার রাস্তায় অলিভঅয়েল দিতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও শিশুদের দুধের সাথে ৩ থেকে ৫ ফোঁটা অলিভঅয়েল খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে উপশম হয়।সাধারণত বাচ্চারা দুই থেকে তিন বছর বয়স থেকে খাওয়া-দাওয়া শুরু করে। আর এই খাওয়া দাওয়া শুরুর পর থেকেই বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ শুরু হতে পারে। অনিয়মিত খাবার খাওয়া এবং গুনাগুন খাদ্য কম খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। বাচ্চারা যখন মায়ের দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয় তখন থেকে এই সমস্যা বাচ্চাদের দেখা দেয়। অনেক মা-বাবা আছেন যারা চিকিৎসা করান না তার জন্য বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে এই রোগ আরো বেশি হয়ে যায়।বাচ্চা যদি শক্ত পায়খানা নিয়মিত করতে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে তার সমস্যা রয়েছে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দেখা দিলে প্রথম থেকে বাচ্চাদের চিকিৎসা নিতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যাবে। প্রথম থেকে চিকিৎসা না নিলে বাচ্চার পায়খানা শুরু করবে এবং তার তার অনেক মলদ্বার খারাপ অবস্থায় চলে যাবে।এ সময় বাচ্চাদের অনেক কষ্ট হয় তারা কিছু খেতে চায় না তাদের মুখের রুচি চলে আসে। পেট শক্ত হয়ে ফুলে যায় তাই চেষ্টা করতে হবে সব সময় বেশি বেশি পানি খাওয়ার এবং খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হওয়ার।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                      বাচ্চারা যদি সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা করে তবে সেটাকে পায়খানা বলে ধরে নেয়া যায়। এছাড়াও কষা পায়খানা হলে যে সমস্যা গুলো বাচ্চাদের সে লক্ষণগুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ

ছোট বাচ্চাদের পায়খানা না হলে করণীয় : ছোট বাচ্চাদের যদি পায়খানা ঠিকমতো না হয় তাহলে তার করণীয় সম্পর্কে আমাদের প্রতি অভিভাবকের জানা খুবই জরুরী। নবজাতক পায়খানা যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের মধ্যে  থাকে আমাদের মায়েরা। তারা এই বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করে এবং বাচ্চাদের খাবার কমিয়ে দিয়ে থাকে। তবে বাচ্চা যদি ঠিকমতো পায়খানা না করে তাহলে ঘরোয়া কিছু ফর্মুলা প্রয়োগ করে তা ঠিক করে নেয়া যায়। তবে জেনে রাখা ভালো একটি নবজাতক শিশু প্রথম দিকে সাধারণত তিন দিনে একবার পায়খানা করতে পারে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে একদিনে 10 থেকে 20 বার পায়খানা করলে সেটা স্বাভাবিক বলা চলে।

শিশু যখন শুধু মায়ের বুকের দুধ পান করে সেই সময় তারা দিনে 10 থেকে 20 বার পায়খানা করতে পারে। আবার দিনে একবার করতে পারে। তবে আমাদের একটা বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরী যে বাচ্চার পায়খানা যদি না হয় তাহলে তার পেট অনেক শক্ত হয়ে আছে কিনা। যদি আমরা দেখি পায়খানা না হওয়া সত্ত্বেও  পেট নরম তাহলে সেটা স্বাভাবিক। আবার যদি দেখা যায় যে পায়খানা ঠিকমতো হচ্ছে না কিন্তু বায়ু ঠিকঠাক নির্গত হচ্ছে তাহলে সেটাও স্বাভাবিক বলা যায়। কেননা যদি পায়খানার সাথে সাথে বায়ু নির্গত স্বাভাবিক না থাকে এবং পেট শক্ত হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সেটা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। 

নবজাতক শিশুর পায়খানা না হলে করণীয়


একটি নবজাতক শিশু যখন ৫-৬ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও পায়খানা না করে থাকে ,নবজাতকের পেট ফুলে যায় ,পেট শক্ত হয়ে যায় এবং বায়ু স্বাভাবিকভাবে নির্গত না হয় বা দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু নির্গত হয় তাহলে কিছু ঘরোয়া ফর্মুলা প্রয়োগ করে সেটা ঠিক করে নেয়া যায়।


পেট মালিশ করা

পায়খানা না হওয়ার কারণে যদি শিশুর পেট শক্ত হয়ে যায় তাহলে শিশুর পেটে আলতো হাতে মালিশ করতে হবে।  নাভির চারপাশে বৃত্ত আকারে হাত ঘুরাতে হবে বা মালিশ করতে হবে। আলতো হাতে ২ থেকে ৫ মিনিট এই মালিশটি করলে পেট নরম হয়ে যায় এবং নবজাতকের পায়খানা হতে সাহায্য করে থাকে। 


পায়ের ব্যায়াম

শিশুর পায়ের ব্যায়ামের মাধ্যমে তার এই সমস্যা দূর করা যায়। সেই ক্ষেত্রে নবজাতকের পা দুটোকে আস্তে করে ধরে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এবং পিছনের দিকে করতে থাকুন। বলা চলে অনেকটা সাইকেল চালানোর মতো। এটা সাধারণত দুই থেকে তিন মিনিট ধরে করতে থাকুন। যার ফলে পেটে আস্তে করে চাপ পড়বে এবং  নবজাতকের পায়খানা হতে সাহায্য করে।



ঘন ঘন খাওয়ানো

যদি দেখেন আপনার শিশু পায়খানা ঠিকমতো হচ্ছে না তাহলে আপনি আপনার শিশুকে বেশি বেশি করে বুকের দুধ খাওয়াতে থাকেন। বুকের দুধ আপনার শিশুর পায়খানা নরম করে এবং পায়খানা নরম হওয়ার কারণে সহজে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে থাকে। তাই যখন দেখবেন আপনার শিশুর পায়খানা স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না তখন শিশুকে বেশি বেশি বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন। 


পবনমুক্তাসন

অনেক সময় শিশুর পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমে আর শিশুদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হওয়ার কারণে শিশুর পায়খানা সহজেই হতে চায় না। আর আমাদের এই গ্যাস নির্গত হওয়ার জন্য সাহায্য করতে হবে। সেই জন্য প্রথমে শিশুর বাম পা  বুকের সাথে লাগিয়ে নিন তারপর ধীরে ধীরে শিশুর পা সোজা করতে হবে এবং ঠিক আগের মতই ডান পা বুকের সাথে লাগিয়ে তারপর আস্তে আস্তে সোজা করতে হবে। তারপর দুই পা একসাথে  বুকের সাথে লাগিয়ে নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এভাবে যদি দুই তিন বার করা হয় তাহলে শিশুর পেটে জমে থাকা বায়ু নির্গত হবে এবং পেট থেকে বায়ু নির্গমনের মাধ্যমে শিশুর পায়খানা হতে সাহায্য করবে। 


খাদ্যের পরিবর্তন

আপনার নবজাতক শিশুর যখন পায়খানা স্বাভাবিক না হবে তখন মায়েদের আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। কারণ আপনার শিশু আপনার বুকের দুধ খেয়ে থাকে।  তাই বাচ্চার পেট নরম হওয়ার জন্য এমন সব খাবার খাওয়া উচিত যেগুলো বুকের দুধের মাধ্যমে আপনার বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। 


নবজাতক শিশুদের অর্থাৎ যেসব শিশুদের বয়স শূন্য থেকে ছয় মাস তাদের তেমন একটা বেশি পায়খানার সমস্যা হয় না। তবে শিশুর বয়স যখন ছয় মাস পার হয়ে যায় অর্থাৎ শিশু যখন বাহিরের খাবার গ্রহণ করা শুরু করে তখন শিশুদের নানা ধরনের হজমের সমস্যা দেখা দেয়। 


৬ মাস -৫ বছরের ছোট বাচ্চাদের পায়খানা না হলে করণীয়


যখন একটা বাচ্চা ছয় মাস বয়স হয় তখন থেকেই তাকে বাইরের খাবার খাওয়ানো শুরু হয়ে থাকে। আর বাইরের খাবার খাওয়ানোর ফলে বাচ্চার হজমের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। যদি এই সময় বাচ্চাদের পায়খানা না হয় তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এর সমস্যার সমাধান করা যায়। 


বাচ্চাদের পায়খানা না হলে কি ঔষধ



গরম পানিতে লেবু ও মধু 

পায়খানা নরম হতে অনেকটাই সাহায্য করে যদি শিশুকে গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে খাওয়ানো যায়। তাই আপনার শিশুর যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তাকে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে তাকে খেতে দিন। কয়েক দিন খাওয়ার পর পায়খানার সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 


ফাইবার যুক্ত খাবার

আমাদের একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে বাচ্চার খাবারে যেন ফাইবারের পরিমাণ অধিক হয়ে থাকে। ফাইবার বাচ্চাদের শরীরে অনেকটা স্পঞ্জ এর মত কাজ করে। যদি খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে পানি শোষণ ক্ষমতা বেশি হয়। যার ফলে পায়খানা নরম হয়ে থাকে এবং তা খুব সহজেই নারী ভুঁড়ি দিয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। ফাইবার যুক্ত খাবারের মধ্যে যেসব খাবার রয়েছে যেমন পুঁইশাক, লাল শাক, পালং শাক, পেঁপে, ডাটা,টমেটো ,পটল ,আলু ,বরবটি  ইত্যাদি। আবার শস্যদানা হিসেবে রয়েছে চাল ,ডাল ,গম ভুট্টা ইত্যাদি।  এসব ফাইবার যুক্ত খাবার শিশুদের পায়খানা নরম করে থাকে তাই এসব খাবার তাকে বেশি বেশি করে খেতে দিন। 


অভিভাবকদের করণীয় 

অনেক সময় যখন বাচ্চাদের পায়খানা হয় না তখন আর তারা পায়খানা করতে চায় না। কেননা যখন বাচ্চাদের পায়খানা অনেক শক্ত হয় তখন তারা পায়ুপথে ব্যথা পায়।  যার ফলে দেখা যায় বাচ্চারা পায়খানা না করেই উঠে দাঁড়ায়। পরে পায়খানা আর হয় না। তাই অভিভাবকদের কাজ হচ্ছে শিশুকে  জড়িয়ে ধরে রাখতে হবে সে যেন ভয় না পায় দাঁড়িয়ে না যায় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। 


পরিশেষে আমরা আজকে আপনার শিশুর পায়খানা না হলে করণীয় সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়ে একটি আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করেছি। আশা রাখছি আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে এটি অনেক সহায়তা করবে। এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য বা মতামত থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমরা দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব। 

  1. বাচ্চাদের পায়খানা শুকনো ও শক্ত চাকার মত হয়ে যাবে।
  2. পায়খানার আকৃতি আগের চেয়ে অনেক বড় হবে।
  3. বাচ্চার পায়খানা করতে কষ্ট হবে
  4. পেট ফুলে থাকবে এবং সে কিছু খেতে চাইবে না।
  5. পায়খানা কষা কেন হয়
  6. বাচ্চা যদি ঠিকমতো পানি না খায় তাহলে পায়খানা কষা হতে পারে।
  7. বাচ্চার খাবারের তালিকা যদি আঁশযুক্ত খাবার থবা ফাইবার যুক্ত খাবার কম থাকে তাহলে কষা হয়ে যেতে পারে।
  8. শুয়ে অথবা বসে বেশি থাকলে যেকোনো বাচ্চার হতে পারে।
  9. শারীরিক পরিশ্রম কম করা হলে বা খেলাধুলা কম করা হলে পায়খানা কষা হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হলে খুব বেশি পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে বাচ্চাকে। বাচ্চা যদি একটু বড় হয়ে থাকে তাহলে তাকে ভুসি ভিজিয়ে রেখে খাওয়াতে হবে। তাহলে তার কষা পায়খানা কমে যাবে।কারণ এসব গুলের ভুষিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা একটি মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।পায়খানা কষা হলে অবশ্যই বাচ্চাকে, হাটাহাটি করতে দিতে হবে,খেলা ধুলার প্রতি মনোযোগী করে তুলতে হবে। সে যদি নিয়মিত খেলা ধুলা করা তাহলে বাচ্চাদের কষা পায়খানা কমে যাবে। সে আবার স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করবে।বাচ্চাদের যদি পায়খানার বেগ আসে তাহলে তাকে সেই সময় পায়খানা করাতে হবে। পায়খানা কখনোই চেপে ধরে রাখতে নেই এতে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। তাই সঠিক সময় বাচ্চাকে পায়খানা করাতে হবে।সঠিক অভ্যাস করার মাধ্যমে বাচ্চাকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

পায়খানা কষা হলে অবশ্যই মনকে এবং হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। কোন সময় মন খারাপ করা বা অসুস্থতা ফিল করা যাবে না, তাহলে শরীর আরো খারাপ হয়ে যাবে। তাই চেষ্টা করতে হবে সবসময় শরীরকে হাসিখুশি রাখার এবং সুস্থ রাখার।বাচ্চা যদি দীর্ঘদিন ধরে কষা পায়খানা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে। কেননা আমরা ওষুধ গুলোর নাম বলবো এই ওষুধ গুলো হতে পারেন কিন্তু ভাসমতে আপনারা যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ান তাহলে আপনার বাচ্চা সুস্থ এবং চিকিৎসা পাবে।

তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের সুপরামর্শ দেওয়ার পোস্টে উল্লেখিত কাজগুলো করে যদি উপকার না পান পরামর্শ নিবেন এবং ওষুধ খাওয়াবেন।ঘরোয়া উপায়ে যদি কষা পায়খানা চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ খাওয়া উচিত না। কারন আপনি যত ওষুধ খাবেন ততই আপনার শরীর বিভিন্ন কারণে অসুস্থ হবে। কারণ যেকোন ওষুধের একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তাই আপনাকে সময় বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মেনে ওষুধ খেতে হবে।

ডুরালাক্স ট্যাবলেট সেবন বিধি: প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা এই ট্যাবলেট প্রতিদিন সকালে দুইটি এবং রাতে দুটি করে সেবন করতে পারবে। সকালে এবং বিকেলে প্রতিবার দুটি করে ট্যাবলেট একসাথে সেবন করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক না হলে তারা সকালে একটি এবং রাতে একটি করে সেবন করবে।

মূল্য: প্রতি পিস ট্যাবলেটের দাম ০.৭১ টাকা মাত্র।

প্রতি পাতা ট্যাবলেট এর দাম ১৪.২০ টাকা। লুবিগাট ৮ ক্যাপসুল সেবনবিধি: যারা কয়েক বছর ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা এই ট্যাবলেট প্রতিদিন দুটি করে সেবন করবেন।

১৪ থেকে ২৮ দিন সেবন করতে হবে। গর্ভকালীন ও স্তনদানকালীন সেবন করা যাবে না৷ মূল্য: প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ১৫ টাকা মাত্র। প্রতি পাতার মূল্য ১৫০ টাকা। লুবিলাক্স ক্যাপসুল সেবনবিধি: অতিরিক্ত পরিমাণ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে ২৪ মাইক্রোগ্রাম ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।

সাধারণ হলে ৮ মাইক্রোগ্রাম ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে একটি করে ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। গর্ভকালীন ও স্তনদানকালীন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। মূল্য: প্রতিটি ট্যাবলেট এর দাম ১৫.০৫ টাকা মাত্ৰ ৷ এছাড়া আরো কিছু ট্যাবলেট ঔষধ রয়েছে কষা পায়খানা নরম করার সেগুলো হলো : •

Ezy Feel Tablet • Laxavin Tablet • Glysup Tablet • Ezylife 10 Tablet

Post a Comment

0 Comments