শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব
শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব
শীতকালে ত্বকের যত্ন কি ভাবে নিবেন? ত্বকের যত্ন বিশেষ করে মেয়েরা বেশি করে থাকে, কিন্তু শীতকালে ছেলে মেয়ে উভয়ই ত্বকের যত্নে সমান হারে করে থাকে। পুরুষেরা যদিও সরিষার তৈল ব্যবহার করে অনেকেই। কিন্তু মেয়েরা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের লোশন ও শীতকালীন ক্রিম। আমরা আজ আপনাদের সাথে ঐ ক্রিম সম্পর্কে বলবো।
শীত আসলেই আমাদের মুখ শুষ্ক ভাব লাগে, হাত পায়ের সাথে সাথে মুখও চটচট করে। আপনাদের মুখের এই শুষ্ক ভাব কি ভাবে কাটাবেন সে বিষয়ে আজ আমাদের আলোচনা। আমাদের সাথেই থাকুন এবং জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য।
শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম - শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন?
শীত আসন্ন প্রায়, শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাতে ঠান্ডা অনুভব করা যাচ্ছে। এখন আমাদের ত্বকের নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিবে, আর এই সমস্যার সমাধান হিসেবে আমরা ব্যবহার করবো নানান ধরনের প্রসাধনী। যেমন: শীতের ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ ক্রিম,ও ফ্রেশ ক্রিম, ডে নাইট ক্রিম, হ্যান্ড ক্রিম, লিপ কেয়ার, অন্যান্য ক্রিম ।
চলুন জেনে আসি ক্রিমগুলোর নাম পরিচয় সম্পর্কে৷
শীতকালে ত্বকের যত্ন
Ponds body lotion moisturizer
■ Parachute skinpure skin Lotion Natural
■ Parachute skinpure skin Lotion Deep
Rajkumar Brightening body lotion super
▪ papaya repairing body lotion
Lafz Body Lotion Cocoa Butter
■ Nivea Aloe hydration body lotion
■ aloe vera protect fairness body lotion
■ international Singapore product Enchanteur
■ International South African product skin care Vaseline
dove body lotion Nourishing Radiance
■ Vaseline Intensive care cocoa Radiant body gel oil
এ সময়ে নিজেদের ত্বককে নরম রাখার চেষ্টা করবেন। কীভাবে ত্বককেনরম রাখা যাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকবেন কারন ভালো কোন প্রসাধনীর পছন্দ করতে পারছেন না। দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের ত্বকের যত্নের ক্রিম। এসব প্রডাক্ট ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। শীতে কীভাবে ত্বকের যত্নে নেবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের সঙ্গে থাকুন।
শীতে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার
শীতকালের এই সময়ে আমাদের ত্বকের নানান সমস্যা সাথে সাথে মুখের হাসিতেও দেখা দেয় জটিলতা কারন এই সময় মুখের সাথে ঠোঁটের ও রুক্ষ ভাব দেখা দেয়। আর এই ফাটা ঠোঁটে হাসি ফোটানোর জন্য বাজারে পাওয়া যাবে নানা ধরনের ময়শ্চারাইজার, লোশন আর অলিভ অয়েল, এছাড়া বাদ পড়ে না গ্লিসারিনের নামও। এই ক্রিম গুলি আমাদের আপন জনের মত কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাজারে পাওয়া যায় নানা ব্যান্ডের ময়েশ্চারাইজ ক্রিম। যেমন: ভেসলিন, ডাব,পন্ডস, প্যারাসুট, নেভিয়া,বরোপ্লাস, ইয়ার্ডলি ইত্যাদি । যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রে বডি লোশন ব্যবহার করা খুবই ভালো। তবে যাদের ত্বক বেশি রুক্ষ ত্বক কাদের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদাভাবে বডি লোশন ব্যবহার করাই ভালো। অর্ধেক বডি লোশনের সাথে সমপরিমাণ গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহারে বেশ দ্রুত সুফল পাওয়া যায়। অনেকেই সারা দিন ব্যস্ততার কারণে বিভিন্ন সময় বাহিরে কাটান তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী। এছাড়া আপনারা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। সারাদিন কাজের ব্যস্তময় সময়ের মধ্যেও ত্বকের এই বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে খুব সহজে আপনারা হাতের নাগালে পাবেন এসব প্রসাধনি।
শীতে লোশনের ব্যবহার
সকাল বেলা গোসলের পর এই প্রসাধনী ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার যেমন সারাদিনের ব্যস্ততার পর নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া সময় পাওয়া যায় না, তেমনি কিছু সময় ইচ্ছা থাকলেও ক্লান্তির কাছে হার মানতে হয় । এর মধ্যে ও নিজের সঠিক যত্ন নেওয়া জন্য ব্যবহার করুন বডি লোশন। তবে বডি লোশন আপনার ত্বকের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে বাছাই করে নিন। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে অবশ্যই যেসব বডি লোশনে এসপিএফ যুক্ত করা হয় এর ব্যবহার না করাই ভালো।
এটা ব্যবহারের ফলে আপনার তৈলাক্ত ত্বক আরো তৈলাক্ত হয়ে উঠবে। আবার যাদের ত্বক শুষ্ক তার ইচ্ছে করলে দিনে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করতে পারেন।
অন্যদিকে যাদের ত্বক না শুষ্ক না তৈলাক্ত অবস্থায় আছে তারা লোশন ব্যবহার করার আগে লোশন, গ্লিসারিন ও পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
এই মিশ্রণটি আপনার ত্বক যেমন মসৃণ করবে তেমনি পোড়া কালচে দাগ দূর করবে ।
যেকোনো লোশন ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আমাদের হাত মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর জন্য অবশ্যই গোসলের পর ব্যবহার করা উচিত। এতে করে ত্বক খুব দ্রুত মসৃন হবে । তবে যদি আপনি রাতে ঘুমানোর আগে লোশন ব্যবহার করেন, তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক খুবই সুন্দর, রুক্ষতা হীন, উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় হয়ে গেছে।
ফেস ক্রিম বা ফেস ওয়াস
শুধু যে শীতকালে তাই নয় আমরা সাধারণত শীত ও গরম উভয় সময়ই ফেস ওয়াস ব্যবহার করি। তবে শীতকালে আমরা বেশি ব্যবহার করি কারন এ সময় আমাদের ত্বক বেশি পরিমাণে শুষ্ক ও রুক্ষ থাকে। যার ফলে আমাদের ফেস ওয়াস টা বেশি গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করা হয়। তবে খুব বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। দিনে এক বার বা দুই বার ব্যবহার করাই ভালো। ফেস ওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে অবশ্যই আমাদের ত্বকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে লোশন পাওয়া যায়, সে টি ব্যবহার করুন। তাতে করে দেখবেন আপনার ত্বকের শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব দূর হয়ে যাবে।
নাইট ক্রিম
এখনে কিছু নাইট ক্রিম সম্পর্কে জেনে নিব।
■ Moisturizer oil control shrink pores anti Acne face Cream 40 gm. Bioaqua pink cherry whitening Cream 30 gm.
■ Wow fairness cream Made in India 50ml price 1, 820 / 2000 Taka.
·
Himalaya herbal clear complexion Made in India 50 ml price 450/500 Tka.
■ Garnier light complete made in France 18 gm price 235/280 taka.
■ Lotus Herbal white glow Made in India 35 gm price 420 /500Taka.
ST botanica pure Radiance anti ageing and Face Brightenong Cream Made in India 50 gm price 800/900
• Himalaya Ravitalizing Night Cream (হিমালয় রিভিটালিজিং নাইট ক্রিম)
■ Lotus Herbals Nutranite Night Cream( লোটাস হারবাল নিউট্রানাইট নাইট ক্রিম)
■ Loreal paris white perfect Night Cream ( ল'রিয়াল প্যারিস হোয়াইট পারফেক্ট নাইট ক্রিম)
• Ponds gold radiance youthful night repair cream ( পর্নস গোল্ড রেডিয়েন্স ইউথফুল নাইট ক্রিম)
■ wow fairness cream (ওয়াও ফেয়ারনেস ক্রিম)
·
Olay white residence
plum E Luminence Deep Moisturizing
■ lakme Absoulute perfect Residence
Lotus Herbals white glow
নাইট ক্রিম টা অবশ্য রাতে ব্যবহার করা হয়। এই ক্রিম টা আমরা আমাদের শীতকালীন ত্বকের যত্ন নেওয়া জন্য উপযুক্ত একটি প্রসাধনী। এই ক্রিম টা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করুন, দেখবেন ভালো ফল পাওয়া যাবে। এতে আপনার ত্বকের আদ্রর্তা, শুষ্কতা দূর করে ত্বককে রাখবে মসৃন ও উজ্জ্বল কোমল।
বডি অয়েল ব্যবহার
শীতকালে আমরা অনেকেই গোসলের পর নানান ধরনের লোসন ব্যবহার করি। এসব লোসন অবশ্য অনেক অংশে তৈলাক্ত প্রকৃতির। এসব লোসন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অনেক সময় দেখা যায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই এসব লোসন অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
নারিকেল তেলের
শীতকালে বিভিন্ন ধরনের লোসন ও ক্রিম এর থেকে আমাদের নিজেদের তৈরী নারকেলের তৈল এর অবস্থান পিছিয়ে নেই। আমরা আদি কাল থেকে দেখে আসছি নানা নানিরা গাছ থেকে নারকেল পেড়ে, ঘানি ভাঙ্গিয়া তৈল বের করে দুপুরের রোদে দিয়ে রাখতো। তখনকার সময়ে তারা বলতো চুলে তৈল না দিলে চুল লম্বা সয় না। চুলের যত্নে নারকেলের জুড়ি নাই। এখনও আমরা দেখে থাকি টেলিভিশনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নারকেলের তৈল এর বিজ্ঞাপন। প্যারাসুট, জুঁই ইত্যাদি। তবে নারকেলের তৈল এর কোন প্রকার মেডিসিন বা কেমিক্যাল মেশানো থাকে না একদমই পিওর । তাই গোসলের আগে নারকেলের তৈল ব্যবহার করতে পারেন এবং গোসলের সময় তা ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে ত্বকের লাবণ্যতা ধরে রাখবে। অবশ্য দামী কোন লোসনের থেকে নারকেলের তৈল কোন অংশে কম নয়।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন আপনারা । আপনারা অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন এই শীতে নিজেদের ত্বককে মসৃন রাখতে কোন ধরনের ক্রিম বা লোসন ব্যবহার করবেন। আশা করি আমাদের এই লেখা টা আপনাদের সেই দুশ্চিন্তা দূর করতে স্বখম হয়েছি। এই লেখাটি সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন প্রকার মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টস এর মাধ্যমে জানাবেন। আর লেখা টা গ্রহণযোগ্য মনে হলে অবশ্যই আত্মীয় স্বজনের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের কে ধন্যবাদ।