গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়।

 গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়আমরা আজ জানবো গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় এ বিষয়ে, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়, তাই চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি কি উপকার হয়। এবং ডান পাশে না ঘুমালে কি অসুবিধা হয়। যেহেতু বিসয়টি খুব গুরুত্বপূর্ন তাই পুরো আরটিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা রাখি অনেক উপকারে আসবে। তাহলে আর দেরি কেন চলুন শুরু করা যাক।



গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়।


মহিলারা যখন গর্ভবতি হয় তখন তাদের জন্য অতিরুক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। কারন এ সময় তাদের শরীর দিন দিন ভারি হতে থাকে, ফলে তাদের শরীরে অস্বস্তি বোধ হতে শুরু করে । এ সময় তাদের জন্য সবচেয়ে বড় যে সমস্যা হয়, তা হলো ঘুমের সমস্যা হওয়া । গর্ভাবস্তায় মেয়েদের পেট দিন দিন বড় হওয়ার ফলে তার শুতে অসুবিধা হয়। যার ফলে তার ঘুমের সমস্যা হয়। যার ফলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাই আমাদের ঘুমানোর কিছু কৌশল অবলম্বন করলে দেখা যাবে ঘুম ভালো হচেছ । ফলে বাচ্চার ও ক্ষতি হওয়ার ঝুকি কম থাকে।


চলুন জেনে নেই কি ভাবে ঘুমালে ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে ।

গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়।


ঘুমানোর কিছু কৌশল



চিৎ হয়ে ঘুমানো: চিৎ হয়ে ঘুমেো গর্ভাবস্তায় একদম ঠিক নয়। কারন মেয়েদের গর্ভাবস্তায় ১৫ থেকে ২০ সাপ্তাহের মধ্যে জরায়ু বেশ পরিমাণে বৃদ্ধি ঘটে এ সময় ফ্রিতে ঘুমানোর ফলে বৃদ্ধি কৃত যারা এর উপরে চাপ সৃষ্টি হয় ফলে ইনফেরিও ভেনাকা সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। এই ইনফেরিয়ো ভেনাক ো সেরাটি শরীরের মধ্যভাগ ও নিম্নভাগ থেকে হৃদপিন্ডের দিকে রক্ত প্রবাহিত করে এতে করে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হতে পারে ফলে গর্ভবতী মায়ের হৃদপিণ্ড রক্তের ঘাটতি দেখা দিতে পারে হার্টবিট বেড়ে যায় এবং দম বন্ধ হয়ে আসতে লাগে এর ফলস্বরূপ বাচ্চা অপুষিত করতে পারে অনেক সময় শীতের শহর ফলে মেরুদন্ডের হাড়ো কোমরের হাড়ে বেশি চাপের ফলে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে অর্থাৎ ব্যাক পেইন হতে পারে



* গর্ভবতী মায়ের উপুড়  হয়ে ঘুমানো একদম ঠিক নয়।  অবশ্য প্রথম দিকে  উপুড়  হয়ে ঘুমানো যায়, বা যেমন খুশি তেমনই ঘুমানো যায়। তবে ১২ সপ্তাহের পর থেকে আর উপুড়  হয়ে ঘুমানো ঠিক নয়।  মনে রাখতে হবে ১৬ থেকে ১৮ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভবতী মায়ের পেট অনেকটা বাইরে বেরিয়ে আসে যার ফলে উপর হয়ে ঘুমালে পেটের উপরে অনেক চাপ পড়ে। ফলে মায়ের এবং বাচ্চার ও ভাইরে ক্ষতি হতে পারে। যদি নিতান্তই যদি অপুর হয়ে ঘুমাতে হয় তাহলে ডোনাট আকৃতির বালিশ ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ ডোনাট বালিশের মাঝখানে গর্ত করে এমন ভাবে শুতে হবে যে বালিশের মধ্যভাগে গর্ভবতী মায়ের পেটটি থাকে যাতে কোন প্রকারের চাপ না লাগে।


গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়

গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়।


গর্ভবতী মায়েদের জন্য বাম কাঁধে ঘুমানোর সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি যারা একপাশে  ঘুমাতে পারে না। তাদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ হলো পাশ্চাত্যের পর থেকে অন্ততপক্ষে কয়েক ঘন্টা বাম কাঁধে শুয়ে থাকা। বাম কাঁধে ঘুমালে শরীরের মধ্যে  দিয়ে খুব সহজে রক্ত চলাচল করতে পারে এবং বাচ্চা সহজে পুষ্টি পেতে পারে।  বাম কাত হয়ে ঘুমানোর ফলে মায়েরা অনেক ধরনের রোগ থেকে  মুক্তি পেতে পারে। যেমন কিডনি ভালো থাকা, এসিডিটি কম হওয়া এবং বর্জ্য পদার্থ নির্গত সাহায্য করে। বাম কাত হয়ে ঘুমানোর ফলে শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে। ফলে ঘুমানো সহজ হবে। তাই চিৎ বা উপুড় হয়ে ঘুমানোর থেকে কাত হয়ে ঘুমানো উত্তম।



এই আর্টিকেলটিতে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে, এক জন গর্ভবতি মাযের জন্য কি ভাবে ঘুমনো উচিৎ আর কি ভাবে ঘুমানো উচিৎ নয়। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আমাদের সাথে থাকুন। 


Next Post Previous Post