বর্তমান সময়ে মারাত্মক যে মহামারী রয়েছে তার মধ্যে ডেঙ্গু ১ নম্বরে স্থান দখল করে রয়েছে এবং বাংলাদেশে প্রতিদিন বহু সংখ্যক লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় এবং মারা যাচ্ছে তাই আমাদেরকে অবশ্যই ডেঙ্গু সম্পর্কে জানতে হবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সচেতনতার জ্ঞান রাখতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে জ্বর সাধারণত ৯৯ ডিগ্রি ফারহেনহাইট থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারহেনহাইট পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর জ্বর ওঠে। এছাড়াও শরীরে ব্যথা মাথা ব্যথা চোখের পেছনে ব্যথা চামড়ার বিভিন্ন অংশ লালচে দাগ অনুভব হওয়া এবং চুলকানি হওয়া বা বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ির মতো ঘাপাশি দেখা যায় এ সমস্ত লক্ষণের কোন একটি বা অনেকগুলি লক্ষণ থাকলে বুঝতে হবে যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে।
ডেঙ্গু হলে আনারস খাওয়া যাবে
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অবশ্যই খাবার তালিকা ঠিক রাখতে হবে এবং সঠিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে তবে অবশ্যই ডেঙ্গুর মারাত্মক যে ঝুঁকি রয়েছে সেটি হচ্ছে রক্তের প্লাটলেট কমে যাওয়া এবং রক্তের প্লাটিলেট স্বাভাবিকভাবে বজায় রাখার জন্য ডেঙ্গু রোগীর খাবার তালিকা অবশ্যই সঠিকভাবে রাখতে হবে এবং আমাদেরকে ডেঙ্গু রোগের খাবার তালিকা সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান রাখতে হবে।
যেহেতু ডেঙ্গু রোগীর প্রধান ঝুঁকি হচ্ছে রক্তের প্লেট কমে যাওয়া তাই বিভিন্ন ফল খেতে হবে যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ রয়েছে যেমন কমলা লেবু পাতিলেবু জল পায় আনারস বেরি এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
তাই উপরের প্রশ্ন থেকে বোঝা যায় ডেঙ্গু হলে অবশ্যই আনারস খাওয়া যাবে এবং আনারস রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে।
যেগুলো আক্রান্ত রোগীর অবশ্যই সবুজ শাকসবজি খেতে হবে যেমন পালং শাক পুদিনা পাতা বাঁধাকপি মোলার শাক ইত্যাদি খেতে হবে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই ডাবের পানি লেবুর শরবত ফলের জুস খাবার স্যালাইন এবং তরল জাতীয় খাবারের বেশি পরিমাণে খেতে হবে খাওয়াতে হবে এবং জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়াতে হবে এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দরকার হলে সেটা সেবন করাতে হবে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী কি কি খাবার খেতে পারবে না
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই তৈলাক্ত মসলা জাতীয় খাবার ভাজাপোড়া খাবার থেকে বিরত রাখতে হবে কারণ এ সমস্ত খাবারে পেটে এসিড জমতে থাকে এবং পিএস স্তরে নেমে যেতে থাকে যা আলসার বা বিভিন্ন অন্যান্য রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে যার জন্য লিঙ্গ আক্রান্ত রোগীর জন্য আরো জটিলতা তৈরি হতে পারে।
এক কথায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্রচুর পরিমাণে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয় এবং এই ঘাটতি পূরণের জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার এবং প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার বিশেষ করে ডাবের পানি অনেক উপকারী হতে পারে এছাড়াও ইলেক্ট্রোলাইট ও পুষ্টির সমৃদ্ধ লেবুর জুস এটি শরীরের জন্য প্ল্যাট্টিলেট তৈরিতে এবং পানি শূন্যতা দূর করাতে সাহায্য করবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে
অনেকেই আবার প্রশ্ন করে থাকেন যে ডেঙ্গু জ্বর হলে অন্যান্য জ্বরের মতো গোসল করা যাবে কিনা সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার ক্ষেত্রেও গোসল করা যাবে তবে অনেক সময় জ্বরের পরিমাণ যদি বেশি থাকে বা অনেকের ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করা বা গোসলের পর দ্রুত চুল শুকিয়ে ফেলার মত বিষয়গুলো দেখে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে এছাড়াও শরীরের তাপমাত্রা যদি অনেক বেশি থাকে তা কমাতে গায়ে তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ভিজিয়ে সেটা মুছে নিয়ে যেতে পারে।
কিন্তু বর্তমানে আমাদের গ্রামে গঞ্জে এখনো একটি বিষয় চালু আছে যে জ্বর হলে গোসল করা হারাম তাই আমাদেরকে অবশ্যই এই ব্যাপার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সাধারণ জ্বর কিংবা ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করলে বা জলপট্টি দিলে সর্দি-কাশি হবে এরকম একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তাই এইগুলো থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং রোগীকে জলপট্টি দিতে হবে এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর গোসল করানো কে বৈজ্ঞানিকভাবে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার কোন আইন নেই।
অনেক সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মাথা ঘোরার শরীরে দুর্বল অনুভব করা এবং শরীরের শুয়ে থাকার জন্য শুকিয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেক্ষেত্রে গোসল করলে বা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করালে অনেক স্বস্তি লাভ করা যেতে পারে।
তাই আমরা বুঝতে পারলেন ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে এ বিষয় সম্পর্কে আপনারা উপযুক্ত তথ্য পেয়েছেন।