আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে শবে কদর কত তারিখে এবং শবে কদরের নামাজের নিয়ম কি ?
শবে কদর কবে পালন করা হয় সেই বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে চাঁদ দেখা কমিটি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এবং এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশে শবে কদর কত তারিখে।
বাংলাদেশের শবে কদর পালন করা হবে 29 শে এপ্রিল রোজ শুক্রবার ২০২৩। সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম গুগলে অনুসন্ধান করে থাকে এবছর ২০২৩ সালে শবে কদর হবে পালন করা হবে।
সাধারণভাবে আমরা সবাই জানি ২৭ রোজার রাত্রিকে শবে কদর হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কিন্তু আসলে সঠিক নিয়ম হচ্ছে ২০ রোজার পর থেকে বেজোড় যে রাত্রিগুলো রয়েছে প্রত্যেকটা রাত্রিই হচ্ছে শবে কদর।
অন্যদিকে দ্বারা শুধুমাত্র ২৭ রমজানকে শবে কদর হিসেবে পালন করে থাকেন তাদের জন্য ইসলামী ফাউন্ডেশন শবে কদরের রাত হিসেবে।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শবে কদর পালন করা হবে ২০ রোজার পর প্রতি বেজোড় রাত্রকে সবে কদর হিসেবে পালন করা হবে। শবে কদরের রাতে রয়েছে বিশাল ফজিলত। যার জন্য আমরা মুসলিমরা যারা মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করে থাকি এবং আমাদের সমস্ত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি।
তাই প্রতিটি ঈমানদার ব্যক্তির জন্য শবে কদরের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এবং শবে কদরের প্রত্যেকটি রাতে ঈমানদার ব্যক্তিরা সারা রাত্র ইবাদত করে এবং নামাজ পড়ে। এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং গুনাহ মাফ করার জন্য আকুল বিকুল করে প্রার্থনা করে।
শবে কদর কত তারিখে
দীর্ঘ একটি মাস রোজা রাখার মাধ্যমে সকল মুসলমান মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মাগফেরাত কামনা করে। এবং রমজান মাসের অতি কদরের রাতে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। এই রাত্রি হচ্ছে জাগরণের মাস এবং এই রাতে আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করি এবং আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০২৩ সালের শবে কদর রাত হিসেবে নির্বাচন করেছেন ২৯ শে এপ্রিল।এই রাতে পেয়ে যায় তাহলে তার স্বল্প আমলে অনেক হাজার বছরের আমলের সমান সওয়াব হয়।
তাই সকল ধর্ম পান মুসলমান শবে কদরের রাত্রি খুঁজে পেতে মহান আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করে।
২০২৩ সালে শবে কদর কবে
বাংলাদেশের যে কোন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারই ঘোষণা করা হয় এবং অন্যদিকে ইসলামিক যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। তাই বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটির বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে প্রকাশ করেছে এই বছরের সবে কদর পালন করা হবে 29 এপ্রিল।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শবে কদরের রাত হচ্ছে বিশ রোজার পর বিজর যে রাত্রিগুলো রয়েছে প্রত্যেকটি রাত্রই হচ্ছে শবে কদরের রাত। এই রাতে জাগরণ করে বাংলাদেশের সকল মুসলমান শবে কদরের রাত্রে মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করে।
শবে কদর পালন করা হবে 29 এপ্রিল রোজ শুক্রবার হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী 27 শে রমজান এবং বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৬ই বৈশাখ।
আপনারা যারা ভেবে রেখেছেন যে শবে কদরের রাতে সারারাত ধরে আল্লাহ তায়ালার কাছে মাপ প্রার্থনা করবেন এবং এবাদত করবেন তাদের জন্য এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে শবে কদর পালন করা হবে 29 এপ্রিল।
তবে শবে কদর পালন করা উচিত ২১ রমজান ২৩ শে রমজান ২৫ শে রমজান ২৭ রমজান এবং ২৯ শে রমজান এর রাত্রে গুলোকে আমাদের পালন করা উচিত।
লাইলাতুল কদরের বেজোর রাত গুলো হচ্ছে ২২ এপ্রিল, ২৪শে এপ্রিল ,২৬ শে এপ্রিল, ২৮ শে এপ্রিল, এবং ৩০ এপ্রিল রোজ শুক্র রবি মঙ্গল বৃহস্পতি এবং শনিবার দিবগত রাত্র।
করে পাঠক আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আশাকরি আপনি বিস্তারিতভাবে বুঝে গিয়েছেন শবে কদর বা লাইলাতুল কদর কবে তারিখ কত তারিখে এবং লাইলাতুল কদরের ফজিলত কি।
চলুন তাহলে আমরা রোজা রাখি এবং কদরের রাত্র পালন করি এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে হাজার বছরের নেক আমল বের করে নেই।
শবে কদরের নামাজের নিয়ম
লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোন নামাজের পদ্ধতি নেই এবং লাইলাতুল কদরের নামাজ দুই রাকাত করে আপনি যত ইচ্ছা করতে পারেন। অর্থাৎ কদরের নামাজের বিশেষ কোনো নিয়ম-নীতি নেই আপনি দুই রাকাত করে আপনার যত খুশি আপনার যত ইচ্ছা তা আপনি আদায় করতে পারেন।
এই রাতে মনোযোগ সহকারে নামাজ পড়া দুই রাকাত দুই রাকাত করে আপনি যত ইচ্ছা নামাজ পড়তে পারেন। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। এবং বেশি বেশি দোয়া এবং ইস্তেগফার করতে পারেন।
শবে কদরের নামাজের নিয়ত
শুধু শবে কদর নয় যে কোন নামাজের নিয়ত বলতে আমরা বুঝি আমাদের মনের ইচ্ছাকে। অর্থাৎ আমরা যে নিয়ত করি যে মন থেকে যে আমরা নামাজ আদায় করব মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য। এটাই হচ্ছে যে কোন নামাজের সবথেকে বড় নিয়ত।
এছাড়াও যে ন্যাচারাল নিয়ত রয়েছে আপনি সেটাও পরতে পারেন
নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল লাইলাতিল কাদ্রি নফ্লে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি- আল্লাহু আকবর।
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা শবে কদর নামাজ কত তারিখে এবং শবে কদর নামাজের নিয়ম এবং নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।