কুরুলুস ওসমান ১২৬ এপিসোডে কি হয়েছিল , সেই বিষয়ে খুঁটিনাটি বিষয় আলোচনা করা হবে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। চলুন তাহলে আমরা ওসমান এপিসোডের ২৬ নং পর্বের ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।
গত এপিসোড যেখান থেকে শেষ হয়েছিল সেটা হচ্ছে, কোনিয়া তে প্রচন্ড যুদ্ধ হচ্ছে সুলতান মাসুদ তার সিংহাসন আহরণের জন্য। সুলতান আলাউদ্দিন এর সৈন্যদের সাথে যুদ্ধ করছেন ওসমান এবং তার সৈন্যরা। সুলতান আলাউদ্দিনকে সাহায্য করতে ছিল ইসমেহান সুলতান এবং নাঈমান।
অন্যদিকে আমরা দেখতে পেয়েছি গাজন খানের দত্তক নেওয়া কন্যা এসে ওসমানবে কে সাহায্য করেছিল। ঠিক সেখান থেকেই নতুন এপিসোড শুরু হয় এবং যুদ্ধের অংশ দেখানো হয়। যেখান থেকে সুলতান আলাউদ্দিন, ইসমেহান , এবং নাইমান কোনিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়। এবং সুলতান মাসুদ সিংহাসনে বসেন।
এদিকে বুশরার টেকফুর তার সৈন্যদের আদেশ করেন , যেন বিভিন্ন বসতিতে অতর্কিত হামলা চালায়। এবং ওসমান এর অনুপস্থিতিতে বসতি গুলো ধ্বংস করতে পারে। এবং সেই অনুযায়ী তিনি কাজ শুরু করেন এবং বিভিন্ন বসতিতে অতর্কিত হামলার মাধ্যমে ধ্বংস লীলা শুরু করেন। তিনি তার এক একজন কমান্ডার কে এক এক বসতিতে হামলা করার অনুমতি দেন।
প্রথমে আমরা দেখেছিলাম ওমান যুদ্ধে বন্দী হয়। এবং বন্দী হওয়ার পর তাকে হত্যা করার জন্য কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং পরের দিন প্রকাশ্যে মৃত্যুর কার্যকর করা হবে এই পরিকল্পনা করতে ছিল। এবং সেই অনুযায়ী তারা কাজ শুরু করে দেয়। নাঈমান তার সৈন্যদের বলে বিভিন্ন জায়গায় পাহারা দিতে। কারণ ওসমানকে হত্যা করার জন্য তারা কোন ঝুঁকি গ্রহণ করবে না।
ওইদিকে দেখা যায় ইসামেহান বাইন্ডার বে কে বন্দী করে এবং তাকে কঠিন ভাবে হত্যা করার হুমকি দেয়। তখন বাইন্ডার বে বলে যে তিনি হকের পথে আসেন। তিনি আগে ভুল পথে ছিল। এবং এই সত্যের পথ সবাই পাই না। এবং যে এই সত্যের পথ খুঁজে পাই সে আর ত্যাগ করে না। আপনাকে আমি আবার ও বলি যে আমি সঠিক পথে সিলাম। এই সব কথা বাইন্ডির বলে ইসামেহান কে।
তখন ইসামেহান বলে জালালী কে , আমি তার আর্তনাত ছাড়া আর কিসুই শুনতে চাই না। তখন জালালী বাইন্ডার বে কে ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে সুলতান মাসুদ ওসমান কে বলে যে আমরা হেরে গেছি , আমাদের আর কিছুই করার নেই। আমরা ব্যর্থ হয়ে গেলাম। তখন তার উত্তরে ওসমান বলে কে বলেছে , আমরা হেরে গেছি, আমরা এখনো হারিনি। তখন কুনুর বলতে ছিল আপনি সামনের কোন পরিকল্পনা না করে কাজ শুরু করেন না। অবশ্যই আপনার কোন পরিকল্পনা আছে।আপনি কি পরিকল্পনা করেছেন। আমরা ইতিমধ্যে অনেক বন্দী দশায় রয়েছি আমাদের কৌতুহল রেখে আর কষ্ট দেবেন না।
তখন ওসমান বলে , দুর্গাপুর দুর্ভাগ্য বসত হলেও কনিয়া এখন গাজান খানের অধীনে রয়েছে আমরা তার সাহায্য ছাড়া সিংহাসনে বসতে পারবো না এবং খুব শীঘ্রই গাজান খান তার বাহিনী আমাদের সাহায্যের জন্য পাঠাবেন। ঠিক সেই ভাবেই গাগান ফার্ম তার দত্তক কন্যা পাঠায় এবং ওসমানকে উদ্ধার করে।
কুরুলুস ওসমান ১২৬ এপিসোডে কি হয়েছিল
পরের চিনে আমরা দেখি সুলতান মাসুদ ওসমান বেঁকে সাহায্যের জন্য শূন্য এবং অস্ত্র পাঠিয়েছে। তার সৈন্যরা মাত্র ৪০০ তলোয়ার পাঠানোর কাগজ নিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে তিনি তার সৈন্যদেরকে ধমক দেন এবং ১০০০ তলোয়ার এবং ঘোড়া পাঠানোর কথা বলেন। তিনি ওসমান বেঁকে সীমান্তের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য বলেছেন। এবং ওসমান সেই দায়িত্ব গ্রহণ করে শপথ গ্রহণ করেছে।
ওসমান যখন বসতিতে আসে তখন দেখে যে বসতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং একটি মোর আহত আছে। তাই তিনি বেদের কে ডাকেন এবং সভা করে সিদ্ধান্ত নেন যে একটি দুর্গ দখল করবে। এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে। দুর্গ দখল করেন কোনরকম যুদ্ধ ছাড়া। এভাবেই ১২৬ তম এপিসোড শেষ হয়। যদি আপনি দেখতে চান তাহলে ওসমানের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে দেখতে পাবেন এবং আমাদের এই রিভিউ পড়ে তার সাথে মিলিয়ে নিলে আপনি খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন।