দাঁতের শিরশিরানি দূর করার ঔষধ

দাঁতের শিরশিরানি দূর করার ঔষধ কি এবং কি করলে দাঁতের ব্যথা কমবে আমাদের এ সব বিষয় নিয়ে আমরা কম বেশি সবাই চিন্তিত থাকে। কারণ ছোট থেকে যেকোনো বয়স পর্যন্ত সকলেরই এই দাঁতে শিরশিরানি সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। একমাত্র সেই ব্যক্তি বুঝতে পারে যে দাঁতের সমস্যায় ভুক্ত ভোগী। 


দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়,দাতের শিরশিরানি,দাঁতের শিরশিরানি,দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়,দাঁতের শিরশির দূর করার উপায়,দাঁতের শিরশিরানি কেন হয়,দাঁতের শিরশিরানি প্রতিরোধক টুথপেষ্ট,দাঁতের শিরশির ভাব দূর করার উপায়,দাঁতের শিরশিরানি দূর করার ঘরোয়া উপায়,দাঁতের শিরশির দূর করার উপায়,দাঁতের শিরশির,শীতে দাঁতের শিরশিরানি,দাঁতের শিরশিরানি চিকিৎসা,দাঁতের শিরশির ব্যথা দূর করার ঔষুধ,দাঁতের ​শিরশিরানি,দাঁতের ব্যথা দূর করার উপায়,দাঁতে শিরশির,দাঁতের ব্যথা


তাই আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হল কেন দাঁতে শিরশিরানি হয়দাঁতের শিরশিরানি দূর করার ওষুধ সহ আরো বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। কারণ দাঁত একটি সেনসিটিভ জায়গা। দাঁতে ব্যথায় আক্রান্ত হলে আমরা অনেক দুর্বল হয়ে পড়ি খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। 


দাঁতের শিরশিরানিদূর করার ঔষধ। 


দাঁতের শিরশিরানি রোগে আমরা প্রায় অনেক মানসী আক্রান্ত হয়ে থাকি। দাঁতের শিরশিরানি মাঝে মাঝে আমাদের সবাইকেই কষ্ট দিয়ে থাকে।  এটা যদি আমরা গুরুত্ব না দিয়ে থাকি। তাহলে একপর্যায়ে চিকিৎসার অভাবে দন্ত শুলে অবস্থা খারাপ পর্যায়ে যেতে পারে। 

তবে এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রতিষেধক। তবে সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি প্রভাব অনেক বেশি বলেই প্রমাণিত। তবে আমি বলিনি এমন তো না যে আপনার দাঁতে ব্যাথা একমাত্র  হোমিপতিতে  কমবে। আপনি চাইলে এলোপ্যাথি ডাক্তারও দেখাতে পারেন।

 
তবে দাঁতের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা টাই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং বেশিরভাগ রোগী এই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থতা লাভ করে থাকে। তাই কি কি হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহার করলে তাতে শিরশিরানি কমতে পারে চলুন সেগুলো জেনে নিন। .

# দাঁতের শিরশিরানি দূর করার ওষুধ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

১  হেপার সালফ এবং সিলিশিয়া। দন্ত মূলে ফোড়া অথবা দাঁতের শিরশিরানি অধিক মাংস বেড়ে যাওয়া ক্ষেত্রে হেপার সালভ  সিলিশিয়া খুবই ভালো কাজ করে থাকে। 

  আর্নিকা। আর্নিকা দাঁত তোলা বা দাঁতের ফিলিং করানোর কারণে আক্রান্ত তার আশপাশ অঞ্চলের অসহ্য ব্যথা থেকে মুক্তি করতে পারে।

  হেলকা লাভা। দাঁতের ব্যথা সঙ্গে সঙ্গে চোয়াল  ফুলে গেলে অবশ্যই  হেলকা  লাভা ব্যবহার করুন। এটি সাথে সাথে কাজ করে এবং দ্রুত ব্যথা ও ফলা কমানোর চেষ্টা করে।

৪   ক্যামোমিলা। ক্যামোমিলা মাধ্যমে আপনার দাঁতের সেই শিরোনি ব্যথা এগুলো কমিয়ে দিতে পারে। 

৫  মার্ক সল। দন্তসুলের সঙ্গে সঙ্গে লালশ্রাব ও দুর্গন্ধযুক্ত শাসকে মার্ক  সোলের  একটি ডোস  নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মাড়ির রক্তক্ষরণ দাঁতের আলগা ভাগ এবং শিরশিরানি সবকিছু ক্ষেত্রেই এই ওষুধ ব্যবহার করা যায় ও খুবই কার্যকরী। 


উপরে যে ওষুধগুলো কথা উল্লেখ করা হলো সেগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারণ সব সময় সবার দাঁতের কন্ডিশন একরকম থাকে না। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধগুলো ব্যবহার করবেন না। 


দাঁতের মাড়ি শিরশির করার কি কারণ। 


আমাদের অনেকেরই দাঁতের মাড়ি শিরশিরানি হয়ে থাকে। তাই আজকে আমরা জেনে নিব কেন এবং কি কারনে আমাদের দাঁতে শিরশিরানী অনুভব হয়

দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে ডেন্টিং বের হয়ে গেলে তখন যদি বাইরে থেকে ঠান্ডা অথবা বাতাস সহ ইত্যাদি অতি সহজেই দাঁতের ভিতরে প্রবেশ করে থাকে। এই কারণেই সাধারণত বেশিরভাগ মানুষই দাঁতের মাড়ি শির শিরানিতে ভোগে থাকে। 

তাই যদি কোন ব্যক্তি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে তাহলে অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের কাছে যাবেন। কারণ আপনি যদি আপনার সমস্যা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে যেয়ে থাকেন।  আর তার পরামর্শ অনুসারে ওষুধ সেবন করেন। তাহলে অবশ্যই একটি রোগ খারাপ অবস্থায় যাওয়ার আগেই ভালো হয়ে যেতে পারে।


দাঁতের শিরশির অনুভূতি হলে করণীয় কি। 


দাঁতের সেনসিটিবিটি বা দাঁতের শিরশির অনুভূতি হওয়া এটি একটি প্রচলিত  রোগ  বললেই চলে।এটি দীর্ঘদিন এরকম হতে থাকলে পরবর্তীতে এটার তীব্র আকার ধারণ করে। আমরা খালি চোখে দাঁতের যে অংশ দেখতে পাই তার নাম হলো এনামেল।  

এটি কে দাঁতের আবারোনো বলা যেতে পারে। আমাদের শরীরের সবথেকে শক্ত আবারও হলো এটি। বিভিন্ন কারণে এই এনামেল ক্ষয় হয়ে গিয়েই দাঁতের এই শিরশিরানি অনুভূতি হয়। 

#  জেনে নি ন কি কি করলে দাঁতে শিরশির অনুভূতি হলে করণীয়-

১>  আপনি যদি আপনার দাঁত ভুল ভাবে ব্রাশ করেননি বা শক্ত টুথব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করলে এনামেল            ক্ষয় হয়ে যায়। তখন এনামেলের পরের স্তর থেকে ডেন্টিন বেরিয়ে আসে। এ কারণেই দাঁতের                সেন্সিটিভিটি হয়। 

    এর জন্য আমাদের উচিত সবসময় নরম ও সফট টুথ টুথব্রাশ ব্যবহার করা এবং তা দিয়েই দাঁত ব্রাশ        করা। 

২> কেমিক্যাল যুক্ত খাবার এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। 


৩>  ফ্লোরাইট সমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। 

৪>  নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।

৫>  অন্তত ছয় মাস পরপর ডেন্টটিসের কাছে যেতে হবে এবং দাঁত পরীক্ষা করাতে হবে। 

৬>  সামান্য শিরশিরানি থাকলে ফ্লোরাইট সমৃদ্ধ টুথপেস্ট দাঁতের ফাঁকে আঙ্গুল দিয়ে লাগিয়ে ৩০ থেকে         ১ মিনিট এর মত ধরে রাখতে হবে। 

৭>  সকালে এবং রাতে দুই বেলা নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে।



# দাঁতের শিরশির অনুভূতি হলে করনীয় কি এই সম্বন্ধে উপরে যে নিয়মাবলী কথা বলা হয়েছে।আপনি যদি সেই নিয়ম অনুসর গুরুত্ব সহকারে যদি করে থাকেন।  তাহলে অবশ্যই দাঁতের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন দাঁতের ব্যথা শিরশির থেকে রক্ষা পেতে পারেনা। 


দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায় কি। 


আমরা দাঁতের মাড়ি শক্ত করা যায় কিভাবে এ বিষয়টি নিয়ে সবাই কমবেশি ভেবে থাকি। তাই আপনাদের আমি জানাচ্ছি কিভাবে আপনি আপনার দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে পারেন। 

আপনি যদি আপনার   দাঁতের গড়া মজবুত করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে। ডেন্টিস বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ , দই, পনির, ও দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার দাঁতের  পুষ্টি যোগান করে থাকে।  ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি  ঘার্তি পূরণ করে থাকে। আর এভাবেই দাঁতের মাড়ি মজবুত ও শক্ত হয়ে থাকে। 

# আশা করি আজকে আমাদের দাঁত শিরশির বিষয় যেসব বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অবশ্যই হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন। তবে আমি আবারো বলছি যে আপনি যদি আপনার দাঁতের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারন আপনার অসতর্কতায় আপনার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Next Post Previous Post